নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ থেকে ছবিটি তুলেছেন সুলতান আহমেদ নিলয় যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত। এই ছবিটি নির্বাচিত দশটি ছবির মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। নিলয় এক শীতের সকালে নিঝুম দ্বীপে হরিণের সন্ধানে যাওয়ার সময় এই অসাধারণ দৃশ্যটি ধারণ করেন।
উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত উইকিপিডিয়ার আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস আর্থ ২০২০’ (ডব্লিউএলই)-এর বাংলাদেশ অংশের বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৩০৪ জন অংশগ্রহণকারী মোট ১৮৯৪ টি ছবি জমা দিয়েছিলেন। বিজয়ী এই ১০টি আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বাংলাদেশের দশটি ছবি নির্বাচনে বিচারক হিসেবে ছিলেন নেদারল্যান্ডের বিচারক অ্যগনাস মঙ্কেবান এবং যুক্তরাজ্যের সিমাও। বিচারকগণ তিনটি ধাপে ছবিগুলো পর্যালোচনা করে এই দশটি ছবি নির্বাচন করেছেন। এ বছর আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে ছাড়াও আরও ৩৩টি দেশ অংশ নিয়েছিলো। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে ছবি নির্বাচন করে আন্তর্জাতিক বিচারক বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সব দেশ থেকে প্রাপ্ত ছবি পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিকভাবে ১৫টি ছবিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এ বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২১ সালের প্রথম দিকে। অন্যান্য দেশের জমা দেওয়া বিজয়ী ছবিসমূহ দেখতে পারেন এই পাতায়। এছাড়া, অন্যান্য দেশ থেকে ছবি জমার সংখ্যা দেখতে পারেন এখানে।
হবিগঞ্জ জেলায় অবিস্থত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে কাঠ শালিকের এই ছবিটি তুলেছেন তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব। ছবিটি সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
জুয়েল নবাব নামে পরিচিত প্রজাপতির এই ছবিটিও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ধারণ কারা। ছবিটি তুলেছেন সাইফুল ইসলাম যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
সাইফুল ইসলাম দুই বছর ধরে প্রজাপতি নিয়ে কাজ করছেন। নিজের ভালোলাগা থেকেই তিনি প্রজাপতির আলোকচিত্র ধারণ করেন। তাঁর ভাষায়, ‘প্রজাপতির রঙিন ডানা আমাকে আকৃষ্ট করে।’
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে কাঠ শালিকের এই ছবিটিও তুলেছেন তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব। ছবিটি সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
নীলটুনি যা দুর্গা টুনটুনি বা মধুচুষকি নামেও পরিচিত। মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ছবিটি তুলেছেন পুলক চন্দ্র শীল যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
আমুর শাহিন নামের এই পাখিটির ইংরেজি নাম অ্যামুর ফ্যালকন (বৈজ্ঞানিক নাম: Falco amurensis)। এটি লালপা তুরমুতি নামেও পরিচিত। পাখিগুলো প্রতি বছর ঝাঁকবেধে বাংলাদেশের উপর দিয়ে উত্তর চীন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতে যাতায়াত করে। বরগুনা জেলায় অবস্থিত টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য থেকে ছবিটি তুলেছেন তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
ঢাকার জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান থেকে মাছরাঙ্গার মাছ শিকারের দৃশ্যটি ধারণ করেছেন দিপু দত্ত যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত রাতারগুল জলাবনের এই ছবিটি তুলেছেন নেওয়াজ শরীফ যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
দাগিলেজা সবুজ বোরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Trimeresurus erythrurus) সাপের ফড়িং শিকারের দৃশ্য। পিট ভাইপার প্রজাতির সাপটি সুন্দরবন অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। মোঃ মেহেদী হাসান মোবাইল ফোনের সাথে সেলফি স্টিক লাগিয়ে ছবিটি ধারণ করেছেন। দশটি নির্বাচিত ছবির মধ্যে একমাত্র এই ছবিটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা। মেহেদী হাসান ও তাঁর বন্ধু মিলে সাপটিকে পরবর্তিতে বনের আরো গভীরে দিয়ে আসেন। ছবিটি সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় ইকোপার্ক থেকে নৌকায় সারিবন্ধভাবে মাছ ধরার দৃশ্যটি ধারণ করেছেন আশরাফুল ইসলাম শিমুল যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
নাহিদ সুলতান,
সমন্বয়ক, উইকি লাভস আর্থ বাংলাদেশ