নওগাঁ জেলায় অবিস্থত ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ‘পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার’ ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় বৌদ্ধ বিহারগুলোর একটি। ছবিটি তুলেছেন আব্দুল মোমিন যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস ২০১৯’-এর বাংলাদেশ অংশের বিজয়ী আলোকচিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। বিজয়ী এই ১০টি আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
সেপ্টেম্বর মাসে উইকিপিডিয়ার আন্তর্জাতিক এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতাটি ৪৮টি দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ তাদের সেরা ১০টি করে আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক বিচারকদের কাছে প্রেরণ করে। সেখান থেকে নভেম্বর মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বিচারকগণ সেরা ১৫টি আলোকচিত্র নির্বাচন করবেন যার ফলাফল ডিসেম্বরে প্রকাশিত হবে।
উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে দেশের আলোকচিত্রীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। ২০১২ সালে গিনেস বুকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
উল্লেখ্য, গত দুটি প্রতিযোগিতাতেই বাংলাদেশ থেকে আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক সেরা তালিকাতে ছিল। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১০টি আলোকচিত্রের মধ্যে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক সেরা তালিকায় তৃতীয় ও সপ্তম স্থান এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ, পঞ্চম, একাদশ ও পঞ্চদশ স্থান দখল করে। গত দুই বছরে আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কারগুলো পেয়েছেন আজিম খান রনি, যুবাইর বিন ইকবাল, আব্দুল মোমিন, শাহরিয়ার আমিন ফাহিম ও নাজমুল হাসান।
এ বছর প্রতিযোগিতায় ৪৮টি অংশগ্রহণকারী দেশের বিভিন্ন স্থাপনার ২ লক্ষের অধিক আলোকচিত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে, বাংলাদেশ থেকে ২১৫ জন অংশগ্রহণকারী দেশের স্থাপনার প্রায় ৪ হাজার আলোকচিত্র এ প্রতিযোগিতায় জমা দেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোকচিত্র জমা দিয়েছেন বাবুল আব্দুল মালেক (৬১০টি), কাজল (৪৬৩টি) এবং সৌরভ (১৭৩টি)। সবচেয়ে বেশি আলোকচিত্র জমা পড়েছে ইউক্রেন (৩১৭৯৭টি), ইতালি (২৫০২৯টি) ও আর্মেনিয়া (২১০৯২টি) থেকে।
বাংলাদেশ অংশের বিজয়ী আলোকচিত্র নির্বাচনী বোর্ডে বিচারক হিসেবে ছিলেন, ভেনেজুয়েলার উইলফ্রেদো রদ্রিগেজ, স্কটল্যান্ডের কলিন, সুইডেনের ডব্লিউ. কার্টার এবং আরিল্ড ভ্যাগেন।
টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের আন্তরীক্ষ চিত্র। ছবিটি তুলেছেন আজিম খান রনি যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
ঢাকার আহসান মঞ্জিলের একটি দৃশ্য। ছবিটি তুলেছেন রায়হান আহমেদ যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
বগুড়া জেলায় অবস্থিত প্রত্নস্থল গোকুল মেধ বা বেহুলার বাসর ঘর বা লক্ষ্মীন্দরের মেধের আন্তরীক্ষ চিত্র। ছবিটি তুলেছেন আজিম খান রনি যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের আরো একটি দৃশ্য। ছবিটি তুলেছেন শাহেনশাহ বাপ্পি যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত মুঘল আমলে নির্মিত সাত গম্বুজ মসজিদ। ছবিটি তুলেছেন আসিফ আহমেদ মজুমদার যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
ঢাকায় অবস্থিত স্বাধীনতা জাদুঘরের প্লাজা। প্লাজার উপরে রয়েছে স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং ম্যুরাল। ছবিটি তুলেছেন ফারুক আহমেদ (মাসুম) যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর আন্তরীক্ষ চিত্র। ছবিটি তুলেছেন আব্দুল মোমিন যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু। ছবিটি তুলেছেন আব্দুল মোমিন যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত। [নিম্নে সংশোধনী দেখুন]
সিলেটের শাহজালাল মাজারের দৃশ্য। ছবিটি তুলেছেন এমদাদ হোসেন যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত। [নিম্নে সংশোধনী দেখুন]
[টীকা: উপরের ১০টি বিজয়ী আলোকচিত্র ছাড়াও বেশ কিছু আলোকচিত্র বিচারকদের প্রশংসা কৃুড়িয়েছে। তার মধ্যে কিছু ছবি শুধুমাত্র আলোকচিত্রীর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই নিম্নে দেওয়া হলো।]
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ছবিটি তুলেছেন সুজন যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
লালবাগ কেল্লারা আন্তরীক্ষ চিত্র। ছবিটি তুলেছেন আজিম খান রনি যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
বরিশালে অবস্থিত বাইতুল আমান জামে মসজিদের ভেতরের দৃশ্য। ছবিটি তুলেছেন শাহরিয়ার আমিন ফাহিম যা সিসি-বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
[সংশোধনী: ফলাফলের প্রথম সংস্করণে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুটি আলোকচিত্রকে সপ্তম ও দশম স্থানে দেওয়া হয়েছিল। আসলে আলোকচিত্র দুটি অন্য শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা মন্দিরে ধারণ করা যা আমাদের দেওয়া তালিকায় ছিল না। ফলশ্রতিতে, আলোকচিত্র দুটি বাতিল ঘোষণা করা হল। একইসাথে একাদশ ও দ্বাদশ আলোকচিত্রকে বিজয়ী ঘোষণা করা হল। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।]
নাহিদ সুলতান,
সমন্বয়ক, উইকি লাভস মনুমেন্টস বাংলাদেশ
সাধারণ সম্পাদক, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ